ধামরাইয়ে ট্রাকের চাকায় মোটরসাইকেল আরোহী স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত

ধামরাইয়ে ট্রাকের চাকায় মোটরসাইকেল আরোহী স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত

ধামরাইয়ে বেপরোয়াগতি মাটি ভর্তি ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী মৌসুমী আক্তার নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নিহতের স্বামী মোটরসাইকেল চালক মোবারক হোসেন। ঘাতক ট্রাকটি আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে সামান্য বৃষ্টি হলে কালামপুর-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কটির উপর জমে থাকা মাটিরস্তর পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এ সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে মঙ্গলবার সকাল সাতটারদিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মোবারক হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে টাঙ্গাইল যাচ্ছিলেন। এসময় তেলিগ্রাম এলাকায় সড়কের উপর পড়ে থাকা মাটিরস্তরে পিছলে গিয়ে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে তারা ছিটকে সড়কের উপর পড়ে যান। এসময় পিছন দিক থেকে আসা মাটি ভর্তি বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মৌসুমী আক্তার (২৩) নিহত হন। আহত হন নিহতের স্বামী মোবারক হোসেন। তাকে মুমূর্ষুাবস্থায় স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই রাসেল মোল্লা বলেন, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। একই সড়কের চৌরাস্তা এলাকায় একটি কোচও সড়কের কিনারে পড়ে যায়। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
উল্লেখ্য, ধামরাইয়ের আনাচে-কানাচে বৈধ-অবৈধ প্রায় দুইশত ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটায় প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শতশত ট্রাক দিয়ে মাটি সরবরাহ করে থাকে। মাটি সরবরাহ করার সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডাউটিয়া-সূতিপাড়া-নান্নার, শ্রীরামপুর-সূয়াপুর, বাথুলী-জালসা, বাথুলী-বেলীশ^র, বাথুলী-বারপাইকা, জলসিন-কান্দাপাড়া, ধামরাই-কালামপুর বাজার-পথহারা, কালামপুর-বাটুলিয়া, মহিশাষী-কাউয়ালীপাড়া-বালিয়া, শরীফবাগ-পাড়াগ্রাম পর্যন্ত সড়কের উপর ট্রাক থেকে মাটি পড়ে স্তর জমে গেছে। এসব মাটি অপসারণ করা না হলে সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কগুলো পিচ্ছিল হয়ে পড়বে। বিগত বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ভুক্তভোগীরা জানায়,সামান্য বৃষ্টি হলে এসব সড়ক দিয়ে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, রিক্সা, অটোরিক্সাসহ ছোটছোট যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেটে যাওয়াও যুদ্ধের সামিল। এসব সড়কে প্রতিবছর প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্র্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় গত বছর প্রায় ১০জন মারা গেছেন। আহত হয়েছে দুই শতাধিক। কেউ পঙ্গুত্বও বরণ করছেন।
ভুক্তভোগী শোলধন গ্রামের আনোয়ার হোসেন,শরীফবাগ গ্রামের আনিছুর রহমান, দেপাশাই গ্রামের আবদুর রশিদ তুষার, গোয়ালদী গ্রামের আজাহারুল ইসলাম রাজু, কালামপুর গ্রামের মোকলেছুর রহমানসহ এলাকাবাসী এসব মাটির অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment